• বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ওসমানীনগরে নারী সমাবেশে ইলিয়াসপত্নী লুনা: বিএনপি সবসময় নারী জাগরণ ও অগ্রযাত্রায় অঙ্গীকারবদ্ধ শ্রীপুর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোবারক হোসেন বহিষ্কার “চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই প্রতিরোধ ও মাদকের বিরুদ্ধে নরসিংদী জেলা পুলিশের চলমান অভিযান” মাদারীপুরে হোটেল ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় মাসব্যাপী মশক নিধন ও পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ আয়োজিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। দশ মিনিটের বৃষ্টিতেই হাঁটুজল ইসলামপুর বেলবাড়ি গ্রামে চরম দুর্ভোগ নোয়াজিষপুরে জামায়াতের উদ্যোগে পবিত্র মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে সুশৃঙ্খল ওয়াজ মাহফিল সম্পন্ন রাউজান ৬ আসনের জনগণের আস্থার প্রতীক মো: শাহ জাহান মন্জু: একদিনে দুই বিয়ের অনুষ্ঠান ও ওয়াজ মাহফিলে জনগণের পাশে সাংবাদিকের বেতন ন্যূনতম ৩৫ হাজার করার প্রস্তাব

নোয়াজিষপুরের এক জনদরদী নেতৃত্বের প্রতীক: “নুরুল হুদা চেয়ারম্যান”।

সাইয়েদ আলী কাদের রাউজান প্রতিনিধি / ১৯২ Time View
Update : শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

মোঃ সাইয়েদ আলী কাদের রাউজান প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম)

তত্ত্ব সূত্রে-মোজাম্মেল হক

চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের ফতেনগর গ্রামের ওয়াহেদ বাড়ির একটি সাধারণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আজকের শ্রদ্ধেয় জনপ্রতিনিধি নুরুল হুদা চেয়ারম্যান। পিতা জনাব ফোরক আহমদ ও মাতা জনাবা গোল চেহেরা বেগমের আট সন্তানের মধ্যে তিনি তৃতীয়। ছোটবেলা থেকেই ছিল সাধারণ জীবনযাপন, কিন্তু স্বপ্ন ছিল অসাধারণ কিছু করার।

শিক্ষা জীবন শুরু করেন নিজ গ্রামের স্কুলে। শিক্ষাজীবন শেষে কর্মজীবনে পা রাখেন চট্টগ্রামের কদমতলী এলাকায় মোটর পার্টস ব্যবসার মাধ্যমে। “যান্ত্রিক বিতান” নামে শুরু করা ব্যবসা পরবর্তীতে স্থানান্তরিত হয় আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের বিপরীতে। ব্যবসা পরিচালনায় তিনি ছিলেন বড় ভাই নুর মোহাম্মদ এবং মেঝ ভাই হারুন রশিদের সহযোগী। এরপর নিজ উদ্যোগে চকবাজারস্থ অলী খাঁ মসজিদের সামনে “অটো বিতান” নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেন।

তবে ব্যবসার বাইরেও তার অন্তরে ছিল সমাজের জন্য কিছু করার অদম্য বাসনা। সেই বাসনা থেকেই ধীরে ধীরে তিনি জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে। এলাকার মানুষদের দুঃখ-সুখে পাশে দাঁড়ানো ছিল তার অভ্যাসে পরিণত। সমাজে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি তিনি হয়ে ওঠেন এক বিশ্বস্ত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি।

গ্রামে আধুনিক শিক্ষা প্রসারে সর্বপ্রথম তিনি এলাকার যুব সমাজকে সংগঠিত করে “অদুদ চৌধুরী কিন্ডারগার্টেন স্কুল” প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেন। অদুদ চৌধুরীর স্মৃতিবিজড়িত সামাজিক সংগঠন “অদুদ স্মৃতি সংঘ”-এর সভাপতির দায়িত্ব তিনি সফলভাবে পালন করেন। তার হাত ধরেই এলাকার তরুণরা সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত হয়। এরপর তিনি সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান “অদুদিয়া হাই স্কুল”-এ এবং সদস্য ছিলেন ১৪২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। সেখানেও তিনি দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি প্রতিষ্ঠা করেন “মধ্য ফতেনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়” এবং ওই বিদ্যালয়ের সভাপতির দ্বায়িত্বে ছিলেন। তিনি আরো অনেক সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

অদুদ চৌধুরীর হাতে গড়া “অদুদিয়া সড়ক”-এর নাম পরিবর্তনের চেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান তিনি এবং গহিরা “অদুদিয়া সড়ক উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ”-এর সভাপতি ছিলেন।
জনাব নুরুল হুদা এলাকার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। গণস্বাক্ষর, মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ধর্ণা—সবক্ষেত্রেই তার সরব উপস্থিতি ছিল। তার নেতৃত্বেই সড়কের নাম রক্ষা পায় এবং সড়কটি “সড়ক ও জনপদ বিভাগে” নাম লিপিবদ্ধ হয়, যার সুফল আমরা এখন রাউজান-ফটিকছড়ি তথা পার্বত্য অঞ্চল পর্যন্ত ভোগ করছি।
এই ঘটনায় তিনি মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হন।

চলমান সামাজিক কাজের পাশাপাশি, তিনি প্রশাসনিক কোনো দায়িত্বে না থেকেও ব্যক্তিগত তদবির ও যোগাযোগ ব্যবহার করে এলাকায় অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, তার আত্মীয় ও তৎকালীন সচিব জনাব আবুল কালাম সাহেবের সহযোগিতায় এলাকার বহু উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়িত হয়।

তার আট ভাইয়ের কেউ সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না থাকলেও, প্রত্যেকে নিজ নিজ মতাদর্শে বিশ্বাসী থেকে এলাকার উন্নয়ন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন। কোনো রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী না হয়েও তারা এলাকার প্রতিটি কাজে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং সব দলের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।

নুরুল হুদা চেয়ারম্যান এর চকবাজারস্থ “অটো বিতান” ছিল সে সময়ের এলাকার গণমানুষের আস্থার ঠিকানা। কেউ বিপদে পড়ুক বা চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে গেলে, কখনো হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হয়নি। তার নিজের বাসা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। থাকা-খাওয়া এমনকি টাকার জন্য কাউকে টেনশন করতে হতো না। এমন অনেক ঘটনার সাক্ষী এলাকার অনেক শুভানুধ্যায়ী।

পরবর্তী সময়ে যখন এলাকায় নেতৃত্ব সংকট দেখা দেয়, তখন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ মিলে সিদ্ধান্ত নেয় সঠিক নেতৃত্বের অভাব পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমে মূখ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে নুরুল হুদা চেয়ারম্যান উদ্যোগ নেন এবং জনগণকে সাথে নিয়ে জনাব কামাল উদ্দীন শিকদারকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান। সেই সময় এরশাদ সরকারের দোসরদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি। উনি চেয়ারম্যান হতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী টার্মে আবারো এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনসাধারণকে সাথে নিয়ে জনাব জাকারিয়া সিকদারকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে আনেন। তবে পেশিশক্তির কারণে প্রত্যাশিত ফল অর্জন সম্ভব হয়নি।

এরপর আবারও এলাকার তরুণ সমাজ একত্রিত হয়ে নুরুল হুদা চেয়ারম্যান এর মূখ্য নেতৃত্বে জনাব রাশেদুল আলম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী করে। নির্বাচনে জয় এলেও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। মেয়াদ শেষে জনগণের মধ্যে আবারও সঠিক নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা দেখা দিলে, সবাই নুরুল হুদা কে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার আহ্বান জানায়। যদিও শুরুতে তিনি নিরবে সমাজসেবা করে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জনগণের চাপে অবশেষে প্রার্থী হন এবং জনগণের ভোটে জয়লাভ করেন।

নুরুল হুদা চেয়ারম্যান টানা নয় বছর ধরে নোয়াজিষপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সব সময় গরিব, দুঃখী ও মেহনতী মানুষের পাশে ছিলেন এবং তাদের সুখ-দুঃখের ভাগিদার হয়েছেন। তার নেতৃত্বে এলাকা শান্তি ও সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে; হানাহানি, বিবাদ বা বিভাজনের কোনো স্থান ছিল না। নুরুল হুদা চেয়ারম্যান এর সময়কালে এলাকাবাসী ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহমর্মিতার বন্ধনে আবদ্ধ ছিল, যা নোয়াজিষপুরের সামাজিক জীবনে এক উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে আছে।উনি একজন সত্যিকারের সমাজ হিতৈষী।

তিনি সবসময় বিশ্বাস করেন, “অবস্থান বা পদ নয়, মানুষের সেবা করাই বড় কাজ।”

তার নিরব, নিষ্ঠাবান সমাজসেবা এবং উদার নেতৃত্বগুণে তিনি আজ নোয়াজিষপুর তথা রাউজানবাসীর চোখে একজন প্রকৃত নেতার প্রতীক।
তিনি একটি রাজনৈতিক দলের মতাদর্শী হয়েও অন্য রাজনৈতিক দলের সাথে সহনশীল আচরণ ও সম্মান প্রদর্শন করে রাজনীতি করেছেন।

তিনি বিগত দিনে ও সফলতার সাথে রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন সাবেক চট্রগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও রাউজান উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি।

অশান্ত রাউজানকে শান্ত করতে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, জননেতা জনাব আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরীর (এম.পি)র আস্থাভাজন, রাউজানের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞ ও জনপ্রিয় নেতা জনাব নুরুল হুদা সাহেবকে দায়িত্ব দেওয়ার মূল লক্ষ্য হলো—দলীয় ভেতরের বিভাজন কমিয়ে এনে স্থানীয় রাজনীতিকে সুসংগঠিত রাখা।এবং জনগনের আশার প্রতিফলন ঘটানো।
তিনি এখন থেকে বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সমন্বয় তৈরি করবেন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পথ বন্ধ করার জন্য সরাসরি মাঠে কাজ করবেন।

জনাব নুরুল হুদার একমাত্র পুত্র, ইন্জিনিয়ার মোহাম্মদ নওশাদ আকরাম, দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত হয়েছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের সম্মানজনক Chevening Leadership Program-এ নির্বাচিত হন, যা যুক্তরাজ্য সরকার প্রদত্ত একটি মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ ও নেতৃত্ব বিকাশমূলক কর্মসূচি। বর্তমানে তিনি University of Leeds-এ মাস্টার্স করছেন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘভুক্ত প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। মানবিক ও উন্নয়ন খাতে তাঁর কর্মদক্ষতা তাঁকে পেশাগতভাবে একটি অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। তাঁর স্ত্রী (বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক) যুক্তরাজ্যের প্রতিযোগিতামুলক Felix Scholarship অর্জন করেন এবং বর্তমানে University of Reading-এ উন্নয়ন অর্থনীতি (Development Finance) বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করছেন। উপরন্তু, তিনি শ্রেষ্ঠ ফলাফলের জন্য প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক Prime Minister Gold Medal অর্জন করেন।

যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠা নুরুল হুদা চেয়ারম্যান সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পরিবারের সকল সদস্যকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
তার বড় দুই ভাই চট্টগ্রাম শহরের প্রতিষ্ঠিত মোটর পার্টস ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। বড় ভাই জনাব নুর মোহাম্মদের প্রথম সন্তান ইন্জিনিয়ার এবং দ্বিতীয় সন্তান ডাক্তার ও সন্তানদের দুই সহধর্মিণীও ডাক্তার পেশায় নিয়োজিত।

পরিবারের মেজো ভাই জনাব হারুন রশিদ সাহেবের দুই পুত্র ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণ শেষ করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন পৈত্রিক ব্যবসায় নিয়োজিত রয়েছেন এবং অপরজন দুবাইয়ের একটি আইটি ফার্মে কর্মরত। জনাব হারুন রশিদ সাহেবের দুই কন্যা বিবাহিত। একজন ঢাকায় এবং অন্যজন চট্টগ্রাম শহরে স্ব-পরিবারে বসবাস করছেন

পরিবারের চতুর্থ ভাই মরহুম আনোয়ার পাশার দুই সন্তানও চুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছে এবং তার বড় মেয়ে বর্তমানে ইন্জিনিয়ার স্বামীর সাথে জার্মানিতে কর্মরত।

পঞ্চম ভাই আলহাজ্ব কামাল পাশা। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে শিক্ষকতায় নিয়োজিত আছেন । তার বড় সন্তান চুয়েটে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ছেন; মেয়ে মেডিকেলে পড়ছে এবং জামাতা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন হিসাবে কর্মরত আছেন।

খোরশেদুল আলম
একজন নাট্যজন ব্যাক্তিত্ব
শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা।
Bangla Iiterature.
Masters
Chattagram College
খোরশেদুল আলম এর সহধর্মিণী রওশন জান্নাত রুশনী শিক্ষক, সমাজ উন্নয়ন কর্মী ও একজন , নাট্যকার ও দেশের গুণি অভিনেত্রী।

তাদের একমাত্র কণ্যা ইংরেজী সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করছেন।

পরিবারের সপ্তম ভাই জনাব মোরশেদুল আলম (MA, Political Science, Chittagong College) বর্তমানে লন্ডনের Canary Wharf এলাকায় স্বপরিবারে বসবাস করছেন। তিনিও রাউজানের বিভিন্ন সামাজিক এবং সেবামূলক কাজে যুক্ত ছিলেন। তন্মধ্যে ছিলেন- রাউজান ক্লাব, আগুয়ান ক্লাব, রাউজান প্রেস ক্লাব এবং তিনি রাউজান ছাত্র সমিতির সভাপতি ও ছিলেন।

পরিবারের সবার ছোট ভাই মোহাম্মদ রেজাউল করিম, BSS (Honors), MSS (First Class First) লন্ডনের University of Greenwich থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করছেন। তিনি Rotary Club of Chittagong North-এর সাবেক সভাপতি, তার সহধর্মিণীও হাটহাজারী সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
বর্তমান সমাজে যৌথ পরিবারের বন্ধন দেখা না দিলেও জনাব নুরুল হুদা চেয়ারম্যানের পরিবারের একতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ সমাজে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

পরিশেষে,
নোয়াজিষপুরের এই অনন্য ব্যক্তিত্ব জনাব নুরুল হুদা চেয়ারম্যানের জীবনগল্প কেবল একজন জনপ্রতিনিধির কাহিনি নয়, বরং এটি একটি অনুপ্রেরণার উৎস। ব্যবসা, সমাজসেবা, শিক্ষা ও নেতৃত্ব—সবক্ষেত্রে তার সক্রিয় ও নিরলস ভূমিকা প্রমাণ করে, মানুষ চাইলে নিজ প্রচেষ্টায় সমাজের জন্য কত কিছুই না করতে পারে।

তিনি শুধু নিজের জন্য নয়, পরিবার, সমাজ এবং এলাকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কাজ করেছেন। তার উদ্যোগ ও নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রক্ষা পেয়েছে ঐতিহাসিক নামের স্মৃতি, এবং তৈরি হয়েছে অসংখ্য সামাজিক সংগঠন। রাজনৈতিক সহনশীলতা ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা তাকে করে তুলেছে জনগণের প্রকৃত আস্থার প্রতীক।

আজ যখন নেতৃত্বের অভাব চারদিকে প্রকট, তখন নুরুল হুদা চেয়ারম্যানের মতো এক জনদরদী, বিচক্ষণ ও নিবেদিতপ্রাণ নেতৃত্ব সত্যিই একটি আশার আলো। তার হাত ধরে নোয়াজিষপুর যেমন এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়ন ও ঐক্যের পথে, তেমনি তার জীবন ও কর্ম আগামী প্রজন্মের জন্য হয়ে উঠবে এক শিক্ষনীয় আদর্শ।


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category